সুনামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের ওষুধ পাচার, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
০৪ জানু ২০২৩, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুই স্টাফ নার্সকে এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ পাচারের সময় হাতেনাতে আটকের ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার দিনগত রাতে (২৮ ডিসেম্বর) শহরের হাছননগর এলাকা থেকে এই দুজনকে আটক করা হয়।
কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আনিছুর রহমান।
হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবাসহ রোগীদের খাবার ব্যাবস্থা সহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলে আসছে সাধারণ মানুষ। এরইমধ্যে সরকারি স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন হাসপাতালে কর্মরত দুই স্টাফ নার্স (ব্রাদার)। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, এটি জঘন্য ঘটনা সরকারি ওষুধ হাসপাতাল থেকে ব্রাদার বাহিরে নিয়ে বিক্রি করবে এরচেয়ে খারাপ কাজ কি হতে পারে? এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত আছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই জিয়াউর করিম জানান, ২৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন ওষুধ, স্যালাইন, ক্যানোলা পলিবস্তায় করে সিএনজি গাড়িতে করে হাছননগর পানি শোধনাগারের সামনে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে মোস্তাফিজকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে রফিকুল ইসলাম নামে আরও একজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে আনুমানিক একলাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের সরকারি বিভিন্ন ওষুধ, স্যালাইন, ইনজেকশন, কেনোলা, উদ্ধার করা হয়।
আটকরা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার মজবিপুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। আরেকজন বরিশাল জেলার কাওনিয়া থানার উত্তর লামছরি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, তারা দুজনেই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) হিসেবে কর্মরত ছিল।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার