ভিখারিকে বিমা করিয়ে পিটিয়ে খুন, জড়িত পুলিশসহ ৪ জন

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

১১ জানু ২০২৩, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ


ভিখারিকে বিমা করিয়ে পিটিয়ে খুন, জড়িত পুলিশসহ ৪ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
এক ভিখারীকে বিমা করিয়ে তাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। বিমার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবলও রয়েছেন।

জানা গেছে, এ চক্রের মূল অভিযুক্ত বোরা শ্রীকান্ত নামের এক ব্যক্তি। অপর তিনজনের মধ্যে একজন হলো হেড কনস্টেবল মতিলাল, অন্য দু’জন সতীশ ও সামান্না।

পুলিশ সূত্রে খবর, বোরা দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত। গত ডিসেম্বরে তিনি এ ষড়যন্ত্র করেন বলে জানা গেছে। প্রথমে ওই ভিখারির নামে একটি বিমা করানো হয়। এরপর সেই বিমার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে খুন করা হয়।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথমে ৫০ লাখ টাকার বিমা করানো হয়। এরপর বোরা শ্রীকান্ত কনস্টেবল মতিলাল, সতীশ ও সামান্নাকে খুনের জন্য বলেন।

এরপর গত ২২ ডিসেম্বর ওই ভিখারিকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খাওয়ানো হয় প্রচুর মদ। এরপর হকি স্টিক দিয়ে চলে বেধড়ক মার। একসময় মারা যান ওই ব্যক্তি।

পরে তার মরদেহ রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এটা প্রমাণ করার জন্য মরদেহের ওপর দিয়ে কয়েকবার গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। তবে মরদেহ উদ্ধারেরর পরই সন্দেহ হয় পুলিশের। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুসারেও দেখা যায়, দুর্ঘটনার আগে মারধর করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে।

পরে ওই ভিখারির বিমার অর্থ দাবি করে বিমা কোম্পানিতে যায় মূল অভিযুক্ত। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ভিখারির। এরপর বিষয়টি যাচাই করার জন্য পুলিশের সহায়তা চায় বিমা কোম্পানি। কিন্তু সেটা তারা অভিযুক্তদের জানায়নি।

পরে তদন্তে দেখা যায়, বিমার দাবিদাররা কোনোভাবেই ওই ভিখারির আত্মীয় নন। এরপরই শ্রীকান্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সে এই ষড়যন্ত্রের মূল চক্রান্তকারী। এরপরই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

বোরা শ্রীকান্ত এর আগে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত কারচুপি করেছিল। হায়দরাবাদে তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ রয়েছে। এবার ভিখারিকে খুন করে বিমার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। কিন্তু এ কাজেও শেষরক্ষা হলো না।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার