প্রতিবেশী যুবকের হাতে নারী খুন :সিদ্দিকের সঙ্গে কী শত্রুতা ছিলো জরিনার?

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

০৪ আগ ২০২৩, ১১:২২ অপরাহ্ণ


প্রতিবেশী যুবকের হাতে নারী খুন :সিদ্দিকের সঙ্গে কী শত্রুতা ছিলো জরিনার?

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপপুর গ্রামে প্রতিবেশী যুবকের হাতে আয়েশা সিদ্দিকা জুলি ওরফে জরিনা (৩০) নামক নারী খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জরিনার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

তবে কী কারণে জরিনার প্রাণ কাড়লেন প্রতিবেশি যুবক- সে বিষয়ে এখনো রয়ে গেছে রহস্য। জরিনার বাবাও জানেন না হত্যাকারী সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে তার মেয়ের কী শত্রুতা ছিলো। তিনি মামলার এজাহারে শুধু উল্লেখ করেছেন- ‘পূর্ব শত্রুতা’। তবে কী শত্রুতা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু বলতে পারেননি জরিনার বাবা মো. ইয়াছিন আলী।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উত্তর প্রতাপপুর গ্রামের হাসান মিয়ার স্ত্রী জরিনা তার মেয়েকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা নোয়াব আলীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের (২২) বসতঘরের পিছনের রাস্তা দিয়ে স্থানীয় মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে দেখা হয় এবং কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিদ্দিকুর রহমান তার বসতঘর থেকে দা নিয়ে গিয়ে জরিনাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকেন।

এসময় জরিনার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে সিদ্দিকুর রহমানকে সরিয়ে দেন এবং গুরুতর আহত জরিনাকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে জরিনার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জরিনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এ ঘটনায় জরিনার বাবা ইয়াছিন আলী বাদী হয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে একমাত্র আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুন হওয়া জরিনার বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা রয়েছে।

জরিনার বাবা ইয়াছিন আলী বলেন, আমার মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিলো না। কী নিয়ে সিদ্দিকুরের সাথে তার তর্কবিতর্ক হয়েছে আমার জানা নেই।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পরই অভিযান চালিয়ে ছিদ্দিকুরকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই জরিনার বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 983 বার