২০০ টাকার জন্য রিকশাচালককে হত্যা, আসামির ১০ বছরের জেল

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

০৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ


২০০ টাকার জন্য রিকশাচালককে হত্যা, আসামির ১০ বছরের জেল

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে পাওনা ২০০ টাকার জন্য অটোরিকশা চালক লোকমান হোসেনকে পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় খোরশেদ আলমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক পৃথক এ রায় দেয়।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খোরশেদ সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের সিরাজ উল্যার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, লোকমান চররুহিতা গ্রামের মকবুল আহমেদের ছেলে ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পাওনা ২০০ টাকার জন্য পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁছিয়ে আসামি খোরশেদ তাকে হত্যা করে। তিনি খোরশেদের অটোরিকশা দৈনিক ২০০ টাকা হাজিরায় ভাড়া চালাতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে খোরশেদের রিকশা চালানো বন্ধ করে দেন তিনি। তখন খোরশেদের কাছে ২০০ টাকা পাওনা হয়।

এদিকে ভিকটিম অন্য একজনের রিকশা ভাড়ায় চালাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন পাওনা টাকার জন্য খোরশেদ লোকমানের রিকশার গতিরোধ করে। পাওনা টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এ নিয়ে লোকমানকে খোরশেদ মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে খোরশেদ তাকে মাটিতে শুইয়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

পরে মানুষ জড়ো হতে দেখলে খোরশেদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরদিন নিহতের ছেলে রাকিব বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার