দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, এখন ভোট স্থগিত চাওয়ার সময় নয়

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

০৮ ডিসে ২০২৫, ০৪:৪৯ অপরাহ্ণ


দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, এখন ভোট স্থগিত চাওয়ার সময় নয়

বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, দেশের সব মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করার এখন উপযোগী সময় নয়। এ ধরনের রিট এই সময়ে গ্রহণযোগ্য নয়।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

রিটকারী আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আদালতের মনোভাব বুঝতে পেরে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমি রিট আবেদনটি নট প্রেস(উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) করে নিয়েছি। এই রিট মামলাটি চালাব না।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে রুল চাওয়া হয়েছে এবং রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রমে স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে নির্বাচনে জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পরিবর্তে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিটার্নি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিটে আরও বলা হয়, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব সহযোগিতা প্রদান করবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়।

নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।

আইনজীবী বলেন, বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দ্বারা সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচনের ব্যাপারে মতবিনিময় করছেন এবং তাদেরকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে সেটা নিশ্চিত।

তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 989 বার