যে কারণে গুলি করা হয় কানাইঘাটের জামালকে

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

২৩ নভে ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ণ


যে কারণে গুলি করা হয় কানাইঘাটের জামালকে

কানাইঘাট সংবাদদাতা:
বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে কাজের সন্ধানে যাচ্ছেন বলে শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে জানিয়েছেন জামাল উদ্দিন। পরে দিন পেরিয়ে রাত আসলেও বাড়ি ফিরা হয়নি তার। খাসিয়াদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন জামাল উদ্দিনসহ তার কয়েকজন সহযোগী।

এসময় খাসিয়ারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়লে গুলিবিদ্ধ হন জামাল। পরে তার সহযোগীরা বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান। পরে জামালের সহযোগীরা অবস্থা বেগতিক দেখে মরদেহ ফেলে তারা পালিয়ে যায়।

এদিকে, নিহত জামালসহ তার সহযোগীরা সবাই সুপারি চোর সিন্ডিকেট। প্রায় সময়ই তারা ভারতের খাসিয়া পল্লি থেকে সুপারি চুরি করে দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জামালকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মরদেহ রেখে খবর ছড়িয়ে দেয়া হয় সীমান্তে এক যুবকের মরদেহ পড়ে আছে এমন খবর পাওয়ার কানাইঘাট থানা পুলিশ রওয়ানা শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত ১১টায়। কানাইঘাটের লোভাছড়া সীমান্তের ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুতি শেষ করে মরদেহ ভোরে থানায় নিয়ে আসার পর রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত জামাল উদ্দিন কানাইঘাট উপজেলার কান্দলা বাংলাটিলা গ্রামের মৃত মকরম আলীর পুত্র।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, সুপারি চুরি করতে সীমান্তের ওপারে গেলে ভারতীয় খাসিয়ারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। নিহত জামাল উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কানাইঘাট থানার উপপুলিশ পরিদর্শক দূর্গা কুমার। তিনি জানান, শনিবার রাতে লোভাছড়া সীমান্তে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভোর ৪টায় কানাইঘাট থানায় নিয়ে আসে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার