ফরিদপুরের দুই গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৪০
২২ নভে ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ণ

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও মানবপাচার ইস্যুকে কেন্দ্র করে পৃথক দুই ইউনিয়নে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে মানিকদাহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে ও শুক্রবার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে রাতে পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে মানিকদাহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান বাচ্চু মাতুব্বর ও সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ মিয়ার পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-সুরকি ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই পক্ষ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। আহতদের ভাঙ্গা ও সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাতে ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে মানবপাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। অভিযোগ উঠেছে, ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য নুর আলম ও রুহুল আমিন ভাঙ্গা ও রাজৈর এলাকার ৩০–৩৫ যুবকের কাছ থেকে ৫–৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এবং তাদের লিবিয়ায় আটকে রেখে পুনরায় মুক্তিপণ দাবি করেন।
শুক্রবার বিকেলে নুর আলম নিজ বাড়িতে ফিরে এলে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা সেখানে গেলে জুলহাস মেম্বারের পক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা চালালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন জানান, হাজরাকান্দা ও আদমপুর গ্রামের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে দুই এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার