বিয়ানীবাজার পৌরসভার উ্ন্নয়ন থেমে আছে অর্থসংকটে

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

২০ আগ ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ণ


বিয়ানীবাজার পৌরসভার উ্ন্নয়ন থেমে আছে অর্থসংকটে

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
বিয়ানীবাজার পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম অর্থসংকটের কারণে ঢিমেতালে চলছে । আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত কার্যক্রম থেকে শুরু করে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এতে বিয়ানীবাজার পৌরবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার আয়ের প্রধান উৎস হোল্ডিং ট্যাক্স, সম্পত্তি কর, ট্রেড লাইসেন্স ও বাজার ফি’ । কিন্তু এসব খাতে আয় আশানুরূপ হচ্ছে না বলে সংকট কিছুটা বেড়েছে। তবে পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় আয় দিয়ে পৌর এলাকার উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ শ্রম বিনিময় করছেন। এরপরও অনেক সময় প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরও অর্থাভাবে কাজ থেমে যাচ্ছে।

পৌরসভার কর্মকর্তারা জানান, বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ- রাস্তাঘাট মেরামত, নর্দমা পরিষ্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে। এই কাজগুলোতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এদিকে নগরবাসীর অভিযোগ, অনেক জায়গায় সড়ক মেরামত হচ্ছে না, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক হচ্ছে না, স্ট্রিট লাইট অনেক এলাকায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। নালা-নর্দমা পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই অনেক এলাকায় পানি জমে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলির রাস্তাও ভাঙা। রয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তা সংস্কার নিয়ে মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। সবাই রাস্তা সংস্কার চায়। সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সড়কের পিচের সঙ্গে উঠে গেছে খোয়াও। কোথাও কোথাও ইট-সুরকির জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়কগুলো। মশা নিয়ন্ত্রনে বড় উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান পৌরবাসী।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিকুঞ্জ ব্যানার্জি জানান, গত একবছরে মাত্র দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। এরমধ্যে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আনেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। আরো কিছু টাকা পাইপলাইনে আছে। যে কাজগুলো অর্ধেক বা অপেক্ষমাণ রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি। সব কাজ একসঙ্গে ধরা যাবে না।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, ‘আমাদের অর্থবছর তো শুরু হলো। রাজস্ব আদায়ে আমাদের টার্গেট বাড়ানো হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। কোনো অর্থসংকট নেই । দৈনিক নাগরিক সেবার জন্য অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাই চাইলেও সব কাজ একসঙ্গে ধরা হচ্ছে না। ’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার