বিয়ানীবাজারে এ্যাসিল্যান্ডের ভূমিকায় হয়রানী কমছে ভূমি মালিকদের

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

৩০ জানু ২০২৩, ০৭:০৭ অপরাহ্ণ


বিয়ানীবাজারে এ্যাসিল্যান্ডের ভূমিকায় হয়রানী কমছে ভূমি মালিকদের

স্টাফ রিপোর্টার:
ভূমি অফিসে হয়রানী বা বিপাকে ভূমির ক্রেতা-বিক্রেতারা এরকম শিরোনাম দেখে কেউই অবাক হন না। কারণ ভূমি অফিসে হয়রানী অনিয়ম অনেক কাল থেকেই চলে আসছে। অনিয়ম যেন ভূমি অফিসের অন্যতম নিয়ম। ভূমির ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষের এ ধারনা দূর করতে এবার নতুন ভূমিকায় বিয়ানীবাজারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার। ভূমি অফিসে অনিয়ম ও হয়রানী ঠেকাতে তিনি ডিজিটাল রেকর্ড ফাইল চালু করেছেন। এর ফলে অনিয়ম ও হয়রানী থেকে পরিত্রান পাবেন উপজেলার ভূমি মালিকরা। ভূমি কেনা বেচার সাথে জড়িতরা এ্যাসিল্যান্ডের এ উদ্যোগের খবরে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পৌরসভার শামীম আহমদ নামের একজন ভূমির মালিক বলেন, ভূমি অফিসে অনিয়দমের কথা সবারই জানা।

আমরা জিম্মি এসব অফিসের কাছে। আমাদেরকে মুক্ত করতে এ্যাসিল্যান্ড ম্যাডাম ডিজিটাল রেকর্ড ফাইল ও ডিজিটাল নামজারীসহ এ বিভাগে অনেক রদবদল করছেন শুনে খুবই স্বস্থি পেয়েছি। মতিন নামের আরেক ভূমি ক্রেতা বলেন, এ্যাসিল্যান্ড ম্যাডাম যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাথে আমরা খুবই খুশি। উপজেলার সব-ভূমির ক্রেতা-বিক্রেতা চান ভূমি অফিসে যেন সহজে সকল কাজ হয় সে ব্যবস্থা। ম্যাডাম সততার সাথে কাজ করছে এতে আমরা অনেক হয়রানীমুক্ত হয়েছি।

তানিয়া আক্তার বিয়ানীবাজার যোগ দেয়ার সময়ই রেকর্ড ফাইলসহ ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য সব কাজের তীব্র ঝট ছিল অফিসে। তিনি প্রথমেই তা দূর করার পরিকল্পনা নেন। কর্মস্পৃহা দক্ষতা ও যোগ্যতার ফলে অল্প সময়েই ভূমি অফিসে ব্যাপক পরিবর্তন সাধনে সক্ষম হন এ কর্মকর্তা। সততা এবং দায়িত্ববোধ দেখে অনেকেই তার প্রশংসা করেছেন।

এ প্রতিবেদক এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন কোনো মানুষ যাতে বিয়ানীবাজার ভূমি অফিসে এসে অযথা বিড়ম্বনার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জন সাধারণের কথা বিবেচনা করে ডিজিটাল রেকর্ড ফাইল ও ডিজিটাল নামজারী চালুর হয়েছে। আশা করি সফল হব। তারপরও যেহেতু দীর্ঘ দিন থেকে ফাইলের তীব্র জট রয়েছে একই সময়ে একাধিক মানুষের কাজের আবেদন জমা হয়। এতে অনেকেই মনোক্ষুন্ন হতে পারেন। অনেকের সময় ব্যয় হতে পারে। এসব কিছু মেনে নিয়েই নিয়ম মোতাবেক কর্মে ভূমি অফিসের সবাইকে সহযোগিতা করার আহŸান করেন তিনি। যে কারো প্রয়োজনে সরাসরি তার সাথে আলোচনা করতে চাইলে তাতে তিনি সময় দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

তানিয়া আক্তার যোগদানের পর থেকে তিনি বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমান আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। গত কাল রোববার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামের মৃত নিমার আলী পুত্র হোসেন আহমদকে কৃষি জমি থেকে মাটিকাটার অপরাধে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন তিনি।

উল্লেখ্য বিয়ানীবাজারের এসিল্যান্ড তানিয়া আক্তার ৩৬তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর সর্বশেষ সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেএম শাখা, প্রকাশনা শাখা, ফরমস, স্টেশনারী ও লাইব্রেরি শাখা, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখায় কর্মরত ছিলেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার