হবিগঞ্জে টমটম চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি
১৪ ফেব্রু ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া ইজিবাইক (টমটম) চালক আতাউর রহমানের হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। প্রধান আসামী হাবিবুর রহমান রামিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারি গ্রামে অটোচালক আতাউরের মৃতদেহ একই গ্রামের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরীর বাড়ির পিছনে পশ্চিম ও উত্তর অংশে মরহুম এডভোকেট আফরাজ আফগান চৌধুরীর পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত আতাউর রহমান বালিয়ারি গ্রামের মৃত আব্দুল খালের পুত্র। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামী মো. হাবিবুর রহমান রামিমকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত অটোরিক্সা, ইজিবাই বিক্রির নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশে পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ২টি ছুরি ও ১টি দা উদ্ধার করা হয়।
পরে রবিবার দুপুর ২টায় বালিয়ারি গ্রামের উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর চৌধুরীর বাড়ির পিছনে পুরাতন পুকুর সেচ দিয়ে প্রধান আসামি হাবিবুর রহমান রামিমকে সঙ্গে নিয়ে তার দেখানো মতে ওই পুকুর থেকে আতাউর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
রামিম একই গ্রামের আজিজুর রহমান ওরফে মলাই মিয়ার পুত্র। রামিম পরে পুলিশের নিকট হত্যার দায় স্বীকার করলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, প্রধান আসামি রামিমের দেওয়া তথ্য মতে এর আগে আমরা হত্যায় ব্যবহ্নত ছুরি, দা ও ভিকটিম আতাউরের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। সে পুলিশের নিকট ঘটনার দায় স্বীকার করার পর আদালতে বিজ্ঞ বিচারকের নিকটও জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 984 বার