নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় যু্বককে কুপিয়ে হত্যা
১০ ফেব্রু ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আলামিন ওরফে দানিয়াল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় শুভ নামে আরো একজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল (২৯) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। আর আহত শুভ (২২) একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। তাদের মধ্য দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসায়ী আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত সোয়া এগারটার দিকে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে ওই দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করে কয়েকজন যুবক। পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আহতদের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের আবার আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের মরদেহ নিয়ে আহাজারি করছিলেন তার মা মুক্তা বেগম। এসময় তিনি জানান, বাড়ির পাশে দানিয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ছোট ছেলে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে দানিয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি দানিয়াল মারা গেছে।
তিনি বলেন, দানিয়ালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে স্থানীয় রমু ও অনিকদের বিরোধ চলছিল। যারা যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি চাই।
হতের স্ত্রী রাত্রি আক্তার জানান, দুই বছর আগে তার সঙ্গে দানিয়ালের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে কয়েকমাস ধরে তারা আলাদা বাসা নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। রাত দশটার দিকে দানিয়াল তার বন্ধু শুভকে নিয়ে চাষাঢ়া ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসে লাশ হয়ে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া নিহত যুবকের বিরুদ্ধেও থানায় মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে রমু নামে এক ব্যক্তি আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 983 বার