২০২৭ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি সরকারের
২০ ফেব্রু ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ


স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি মরক্কোর মারাকাসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন রোড সেফটি অনুষ্ঠানে গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর কমিউনিকেশন অফিসার তরিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ ও সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা। সরকার ২০৩০ সালের লক্ষ্যগুলো, বিশেষ করে লক্ষ্য ৩.৬ এবং ১১.২ অর্জনের জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ ও ১১ অর্জনে সড়ক নিরাপত্তার ভূমিকা স্বীকার করেছে। এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছে। বাংলাদেশ ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত ও অনুমোদন করবে, যা নিরাপদ ব্যবস্থা (সেফ সিস্টেম এ্যাপ্রোচ) অনুসরণ করে প্রণয়ন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভিত্তিক ডাটাবেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। যেখানে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে একটি গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করবে, যা ২০২৪ সালের মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নির্দেশিকা তৈরি করবে।
এই সম্মেলনে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের অ্যানফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নাজনীন হোসেন, গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ ও সিআইপিআরবির ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরীসহ বাংলাদেশ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূলত বর্তমানে দেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা বিধি নেই। তাই এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৭ সালেল মধ্যে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করবে।
অন্যদিকে তৃত্বীয় বিশ্ব যুব সম্মেলনে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশের নিরাপদ সড়কে তরুণদের কার্যক্রম তুলে ধরেন তারা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 989 বার