Social Bar
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের একটি বিকাশ প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে ৭-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মো. ইকবাল হোসেন কামরুল (৩২) নামের ওই প্রতারককে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বিলবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ইকবাল জকিগঞ্জের উপজেলার কাজলসার গ্রামের মো.আব্দুল খালিকের ছেলে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এপিবিএন।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকাস্থ ৭-এপিবিএন-এর সদর দপ্তরে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন বিশেষ এই বাহিনীর সাইবার টিমের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম।
তিনি জানান- দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক মো. ইকবাল হোসেন কামরুল অনেক সময় নিজেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-এর গাড়িচালক এবং অনেক সময় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন জালালপুর বাজারের ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মোগলাবাজার থানায় ২৬ হাজার ৫২০ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে জিডি করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম জিডিসহ ৭-এপিবিএন সিলেটের সাইবার টিমকে অবহিত করেন। এছাড়াও জালালপুরের আরেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ওই বাজারের বড় এক ব্যবসায়ীর নাম-পরিচয় দিয়ে কণ্ঠ বদলে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে একই দিনে ৩ ধাপে ৯৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নে প্রতারক ইকবাল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ৭-এপিবিএন’র অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ফরিদুল ইসলামের নির্দেশনায় সাইবার টিমের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম কাজ শুরু করেন। প্রযুক্তি ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অবশেষে রবিবার বিকালে তাকে জালে বন্দি করতে সক্ষম হয় ৭-এপিবিএন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম আরও জানান- তদন্তে নেমে জানা যায়, প্রতারক ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে এভাবের প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ইকবাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে। যারা বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন তারাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন- ওই প্রতারক এমনভাবে ফোনে আমার সঙ্গে পরিচিত এক ব্যবসায়ীর পরিচয় দিয়ে কথা বলেছে, মনে হয়েছে আসলেই ওই ব্যবসায়ী আমাকে টাকার জন্য ফোন দিয়েছেন। তাই আমি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি বিকাশে। কিন্তু একাধিকবার টাকা চাওয়ার ফলে আমার সন্দেহ জাগে এবং ওই ব্যবসায়ীর দোকানে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ধরে পড়ে। পরে আমি থানায় জিডি করে এবং পাশাপাশি তদন্তের জন্য ৭-এপিবিএন-এর কাছে আবেদন করি।
বিকাশ প্রতারণা ঠেকাতে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে মো. মফিজুল ইসলাম বলেন- যারা বিকাশের এজেন্ট তারা কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এসব প্রতারণা আর হবে না। যেসব গ্রাহক ৫ হাজার টাকার উপরে বিকাশে ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও রেজিস্ট্রার খাতায় ওই ব্যক্তির স্বাক্ষর সংরক্ষণ করে রাখা আবশ্যক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় : উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyajkersylhet24@gmail.com মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।
শাফিয়া শরীফা মিডিয়া বাড়ীর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান দৈনিক আজকের সিলেট, রেজি নং: সিল/১৫৩