সিলেটে নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামি করায় পদ হারালেন যুবদল নেতা
৩১ আগ ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী চলছে মামলার হিড়িক। এতে দোষীরা যেমন আসামি হচ্ছেন তেমনি অনেকে ব্যক্তি আক্রোশের কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন হয়রানিমূলক মামলায়। এমন একটি অভিযোগে এবার দলীয় পদ হারালেন সিলেটের এক যুবদল নেতা। কেন তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে না, জানতে চেয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৭ দিনের সময়।
জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ব্যক্তি আক্রোশে নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলার আসামি করার অভিযোগে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহাজাহান সিদ্দিকীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমেদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ব্যক্তি আক্রোশে চলমান দায়েরকৃত মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামি করা সংক্রান্ত ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকায় দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টের সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পদ থেকে আপনাকে অব্যাহতি প্রদান ও একই সঙ্গে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।’
আদেশে আরও বলা হয়, ‘কেন আপনাকে সংগঠন (যুবদল) থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—এই মর্মে আগামী সাত দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সশরীরে উপস্থিত থেকে অভিযোগের সুস্পষ্ট জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধসহ নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেন, ‘ঢালাওভাবে নিরপরাধ মানুষকে যেসব মামলায় জড়ানো হয়েছে, সেগুলো আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে এসব করছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আর নিরপরাধ মানুষ কোনও ধরনের মামলা-হয়রানির শিকার হলে আমাদের অবগত করার অনুরোধ করছি। আমরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।’
নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাডভোকেট শাহাজাহান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কোনও মামলার বাদী, সাক্ষী বা আইনজীবী নই। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 984 বার