সিলেটে চোর সন্দেহে উপড়ে ফেলা হলো যুবকের চোখ
২০ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ণ


স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিশ্বনাথে একটি মসজিদের ইমামের মোবাইল চোর সন্দেহে যুবকের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে চোখ উপড়ে ও ডান পা ভেঙে দিয়েছে গ্রামের লোকজন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের পাশে সরকারি গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দিন রাতে গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি মৃত সাজিদ আলীর ছেলে আব্দুল আহাদকে (৪০) চোর সন্দেহে তার বসতঘরে প্রবেশ করে মারধরের মাধ্যমে ডানের চোখ উপড়ে ও ডান পা ভেঙ্গে দেয় স্থানীয় জনতা।
এছাড়াও তার বসতঘর ভাঙচুর করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। মারধরের পর তাকে একই উপজেলার রহিমপুর গ্রামের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতে কয়েছ মিয়ার বসতঘর থকে গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল আহাদকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে আহত আব্দুল আহাদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩০) বাদী হয়ে ৭ জনের নামে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-(১৩)। মামলায় অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ২০/৩০ জন। ওই মামলায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
আটককৃতরা হলেন- একই ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে শাহান শাহ (২৫), আতিকুর রহমানের ছেলে শফিউর রহমান (২৩), মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে ইমরান মিয়া (২৬), মৃত ধন মিয়ার ছেলে মিলাদ উদ্দিন (২৩) ও মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মারুফুল ইসলাম (২১)।
মামলায় আব্দুল আহাদের স্ত্রী রহিমা বেগম উল্লেখ করেন, গত ১৫ মার্চ রাতে রহিমপুর গ্রামের মাইজপাড়া জামে মসজিদের ইমামের মোবাইল ফোন চুরির হয়। এরই জের ধরে আব্দুল আহাদকে চোর সন্দেহ করে সরকারি গুচ্ছগ্রামস্থ তার বসতঘর থেকে মারধর করে তুলে নেওয়া হয় রহিমপুর গ্রামের কয়েছ মিয়ার বাড়িতে। আর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বিগত ২০২৩ সালে তার বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা হয়েছে। জিআর মামলা নং-২৭। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে এসআই পান্না লাল জানান।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 985 বার