Social Bar
স্টাফ রিপোর্টার:
যানজট আর হকারদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসীকে মুক্তির প্রচেষ্টা চলছে। সিলেট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাড়া দিয়েছেন হকাররাও। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে তারা রাজপথ আর ফুটপাত ছেড়েছেন। তবে এখন লালদিঘীরপাড় অস্থায়ী হকার্স মার্কেটটি জমিয়ে তোলার দায়িত্ব নগরবাসীর। একেবারে সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক- সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। কেনাকাটার জন্য সেখানেই যেতে হবে।
এই কথাটিই যেন প্রতিধ্বনীত হল সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলমের কথায়। তিনি সবাইকে সেখানে যাওয়ার আহŸান জানানোর পাশাপাশি, ঘোষণা দিলেন, ‘আমরাও সেখানে যাবো।’ রবিবার সন্ধ্যায় হকার্স মুক্ত সিলেট নগরী পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সিলেটকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে হলে বা নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ নিশ্চিত করতে হলে পরিচ্ছন্ন যানজট ও হকার্স মুক্ত নগরীর কথা সবাই বলেছেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম ও পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম দফায় দফায় সচেতন নগরবাসীর সাথে মতবিনিময় করেছেন। আলাপ আলোচনা শেষে এই বিষয়গুলো নিশ্চিতের সিদ্ধান্ত হয়।
সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রথমে অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদের অভিযান শুরু হয় যা এখনো চলছে। এমনকি ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুতের মিটার এবং চার্জিং পয়েন্ট ধ্বংস করা হয়েছে। এই অভিযান চলছে এবং সহসা শেষ হবেনা বলেই জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ পিপিএম।
এরপরই শুরু হয় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। এরমধ্যে আছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডও। মানবিক দিক বিবেচনা করে হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে সবার শেষে, রবিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে।
এরমধ্যে গত একমাসে নগরীর লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেটটিকে সংস্কার করে হকারদের বসার উপযোগী করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক হকারই সেখানে ব্যবসা শুরু করেছেন। আর যারা ‘দেখি কি হয় দেখি কি হয়’- এমন দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ছিলেন তারাও এখন সেখানে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন। বিনাভাড়ায় সেখানে ব্যবসার সুযোগটা হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায়ও ভুগতে শুরু করেছেন হকারদের অনেকে।
এমন প্রেক্ষাপটে সচেতন নগরবাসী মনে করছেন, কেনাকাটার জন্য সবাই সেখানে না গেলে পুরো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। বাইরে রাস্তাঘাটে হকাররা পণ্যের পসরা নিয়ে গেলেও তাদের কাছ থেকে ক্রয় না করার সংস্কৃতি গড়ে উঠলে কেউ আর বাইরে রাস্তা বা ফুটপাতে ব্যবসার চিন্তা করবেন না। কাজটি খুবই কঠিন, তবে সম্মিলিতভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে নগরবাসীকে সচেতন করে তুলতে পারলে তা অসম্ভব হবেনা।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম, পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার এখন সেই সচেতনতা সৃষ্টির কাজ শুরু করলেন।
সবার পক্ষ থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলমের ঘোষণা অনুযায়ী তাদের মতো আরও যারা আছেন সবাই যদি লালদিঘীমুখো হন, তাহলে হকার্স মুক্ত সিলেট মহানগরীর স্বপ্ন অবশ্যই বাস্তব হতে পারে।
আম্বরখানা এলাকার ফুটপাতে গত ১০ বছর থেকে পোশাক ব্যবসা করছেন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর থানার হাসিবুর রহসান (৪৫)। তিনি বলেন, হগলে ওহানে গেলে আমিও যামু। যামুনা ক্যান। দেহি কি করণ যায়।
গোয়াইনঘাটের বাদাম ব্যবসায়ী খালেদ (১৮) বলেন, ইতায় যেতা অবস্থা লাগাইছইন। রাস্তাততো টিকার উপায় নাই। মানুষ লালদিঘীত গেলে আমরাও যাইমু। যেন মানুষ যাইব অনো ব্যবসা অইবো।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আরও বেশী প্রচারণা জরুরী বলে মনে করেন লালদিঘীরপার হকার মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় : উত্তর বাজার মেইন রোড বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: dailyajkersylhet24@gmail.com মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।
শাফিয়া শরীফা মিডিয়া বাড়ীর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান দৈনিক আজকের সিলেট, রেজি নং: সিল/১৫৩