সিলেটের রাজপথে ঝাড়ু হাতে তামিম ইকবাল
১১ মে ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ণ
নিউজ ডেস্ক:
পরিচ্ছন্নতা কাজে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে সিলেটের রাজপথে দেখা গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তামিমকে নিয়ে রাজপথে নামেন সিসিক মেয়র।
নগরভবনের সামনে থেকে নাগরী চত্বর হয়ে সার্কিট হাউসের সম্মুখ-সুরমাতীর পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন তিনি।
এ সময় সাবেক টাইগার অধিনায়ক বলেন, এমনিতে সারা দেশে সিলেটবাসীর আলাদা একটা সুনাম আছে। আধ্যাত্মিক এই নগরী আগের চেয়ে এখন আরও বেশি পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে ফুটপাত এবং রাজপথে হকার্সদের হাঁকাহাঁকি ঝুট-ঝামেলা বন্ধ করতে অল্প সময়েই সক্ষম হয়েছেন সিলেটবাসীর প্রিয় মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। আগামী সাড়ে ৪ বছরে সিলেট মহানগরী সারা দেশের জন্য একটি আদর্শ নগরী হিসাবে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান মেয়রের সেই আন্তরিকতা এবং যোগ্যতা আছে বলেই আমি মনে করি।
এ সময় তামিম ইকবাল চৌধুরী সিলেটে আসায় এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে উদ্বুদ্ধ করায় তাকে ধন্যবাদ জানান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
মেয়র বলেন, সিলেটের রাজপথে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমে তামিম প্রমাণ করলেন তিনি শুধু খেলার মানুষই নয়, একজন দায়িত্ব সচেতন এবং সম্মানিত নাগরিক এবং একজন সফল মানুষ। আমাদের এই আধ্যাত্মিক নগরীতে তার ভক্ত অনুরাগীর অভাব নেই। তাকে দেখে সবাই আমাদের নগরীকে আরও বেশি পরিচ্ছন্ন রাখতে আন্তরিক হবেন, উৎসাহী এবং উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস। সিলেট নগরীর সচেতন নাগরিকরা তাকে ভালোবাসেন এবং মনে রাখবেন চিরদিন।
সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল গ্রিন-ক্লিন সিলেট। তিনি তার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করছেন। পরিচ্ছন্ন নগরীর জন্য তার বড় সাফল্য, রাজপথ এবং ফুটপাত হকার মুক্ত করা।
এছাড়াও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও সিসিকের কর্মীরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার ড্রেন নালা পরিষ্কার করছেন তারা। তাদের তৎপরতা প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করছেন সিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল,ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, সিসিকের প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা কর্নেল (অব) একলিন আবেদিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্করসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 989 বার