শিক্ষককে হত্যার পর বালু চাপা, প্রেমিকাসহ তিনজন আটক

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

১৭ ফেব্রু ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ


শিক্ষককে হত্যার পর বালু চাপা, প্রেমিকাসহ তিনজন আটক

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে শিক্ষককে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই শিক্ষকের পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আব্দুল হক (৫৮) উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং পলশিয়া দাখিল মাদসারার সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সারপলশিয়া এলাকায় অভিযুক্ত জাহানারা ওরফে জয়নব বেগমের ঘরের পাশে বালুর নিচ থেকে আব্দুল হকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন— সারপলশিয়া এলাকার জাহানারা বেগম (৩৮), তার স্বামী আব্দুল বারেক (৪৮) এবং একই এলাকার সবুরের ছেলে ফারুক (২৫)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়নব বেগমের সাথে আব্দুল হকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজন মিলে এলাকাতে সুদের ব্যবসাও করতেন। এরমধ্যে বেশ কিছু টাকা পেতেন ওই শিক্ষক। এ ছাড়া তাদের সম্পর্কের কথা জয়নবের স্বামী ও তার পরিবার জেনে যাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শিক্ষকের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। পরে পুলিশের সহায়তায় জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালুর নিচ থেকে ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিক্ষক আব্দুল হকের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য বাড়ির সামনেই বালুচাপা দিয়ে রাখা হয়। জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, শিক্ষক নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে আসেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালুর নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার ঘটনায় জয়নব তার স্বামী এবং তাদের এক সহযোগিকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.4K বার