লটারিতে কেমন হলো নির্বাচনি প্রশাসন?
২৮ ডিসে ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মাঠ প্রশাসন সাজিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লটারিতে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার, ৫২৭ থানার ওসি ও ১৬৬ জন ইউএনওকে। লটারির মাধ্যমে সাজানো প্রশাসন কেমন হলো? এই প্রশাসন দিয়ে কি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব? এ নিয়ে সাবেক সচিব, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক, রাজনীতিবিদদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, বর্তমান প্রশাসন দিয়েই নির্বাচন করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। তবে কারো বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া সরকার যে লটারির মাধ্যমে এই বদলিগুলো করেছে, তাতে ভালো হয়েছে বলেই মনে করে নির্বাচন কমিশন। এখানে কারো কাজে দুর্বলতা পাওয়া গেলেও নির্বাচন কমিশন তাদের বিকল্প সেখানে ব্যবস্থা করবে।
জামায়াতের দাবি, সরকারের সায়
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও ওসি বদলির দাবি জানিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, তফশিল ঘোষণার পর প্রশাসনের সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে আসে। প্রশাসনের রদবদল করে তারা। সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং আস্থা রাখার মতো একটা উপায় হলো যে, লটারির মাধ্যমে বদলি করে দেওয়া- যার যেখানে তকদির আছে, সে চলে যাবে। এটাতে কোনো প্রশ্ন থাকে না।
গত নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গোলাম পরওয়ার বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, এক মাসও হয়নি, ২০ দিনও হয়নি, একজন ডিসি চলে গেলেন। সেটাও হঠাৎ করে। আবার এক সপ্তাহের মধ্যে অনেককে রদবদল করা হয়েছে। এটার পেছনে মনে হয় যেন কোনো একটা ডিজাইন, একটা উদ্দেশ্যে আছে। কিন্তু আমরা যখন এই কথা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার সময় বলেছিলাম- আপনারা এরকম করেন, কোশ্চেন থাকবে না, তখন সেখানে তার (প্রধান উপদেষ্টা) বক্তব্যে বোঝা গেল যে, পরিষ্কারভাবে উনি কিছু বলেননি। তবে, আমরা বুঝতে পেলাম যে কোনোভাবে, কোনো জায়গা থেকে কেউ এটা শুরু করেছে। সেটা কি কোনো প্ল্যান? নির্বাচন কমিশনই হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তফশিল ঘোষণার পর আমাদের একমাত্র আস্থার জায়গা। সেখানে আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম যে, একটা চেঞ্জ আমরা ইতিপূর্বে দু-একটা ইলেকশন কমিশনের সময় দেখেছি, তফশিল ঘোষণার পরেই একদিনে, এক রাতে সব ডিসি-এসপি, পুলিশ সুপারদের রদবদলের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কিন্তু আস্থা ছিল; কমপ্লেন ছিল না। এরকম একটা সিদ্ধান্ত না নিলে এখন যা হচ্ছে, এটা একটা পরিকল্পিত ইন্টেনশন।
জামায়াতের এই দাবি মেনেই অন্তর্বর্তী সরকার লটারির মাধ্যমে এই পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ইমরান সালেহ প্রিন্স ডয়চে ভেলেকে বলেন, লটারিতে এসপি-ডিসিদের নিয়োগের দাবি তো জামায়াত করেছিল, সরকার অনাকাঙ্খিকভাবে তাদের সেই দাবি অনুযায়ী এটা করেছে। এটার ফলে সব ভালো হয়েছে, সেটা যেমন বলা যাবে না, তেমনি সব খারাপ হয়েছে- সেটাও বলা যাবে না। এমনকি অনেক অদক্ষ, অযোগ্য বা পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই এমন অনেক অফিসারকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন আসলে একটা বিরাট চ্যালেঞ্চ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে গেলে যে ধরনের দক্ষতা দরকার, সেটা এই প্রশাসন পালন করতে পারবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
লটারির মাধ্যমে পোস্টিংয়ের কারণে সরকারের অদক্ষতা ও অযোগ্যতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করেন এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরা শারমীন।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, কোনো অফিসারের হয়ত কোনো বিষয়ে পারদর্শীতা আছে, সে সেখানে থাকলো না। আমরা তো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। কিন্তু বড় দুই দলের চাপের কারণে হয়ত এটা করা হয়েছে। এখন যেটা হয়েছে, যিনি নাটোরে ছিলেন, তাকে নওগাঁয় দেওয়া হয়েছে। এতে যে খুব বেশি সুবিধা হলো, সেটা বলা যাবে না। দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখে পোস্টিং দিলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব ছিল। তাতেই বরং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হতো। নির্বাচনে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে আমাদের শঙ্কা আছে।
সংকট প্রকট হতে পারে?
পুলিশ বাহিনীর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ৬৪ জেলার এসপিদের একসাথে পদায়ন করা হয়েছে। লটারির মাধ্যমে এই পদায়ন নিয়ে সারা দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, এমনকি খোদ পুলিশ বিভাগেই ইতিবাচক ও নেতিবাচক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
নির্বাচনি প্রশাসন কেমন হলো জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। এখানে আইজিপি হিসেবে আমার করণীয় কী? এ বিষয়ে আমার কোনো ধরনের মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
লটারিতে এসপিদের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয় নিয়ে পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, লটারিতে এসপিদের পদায়ন ও বদলি করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। কারণ, এএসপি থেকে এসপি পদে পদোন্নতি পেতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভাগীয় অনেকগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বিশেষ করে তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) এবং মাঠ পর্যায়ে অপরাধ দমন ও সাধারণ মানুষকে সেবা দান করার বিষয়টি পর্যালোচনা করেই তার মেধা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া একেকটি জেলায় অপরাধের মাত্রা এবং স্থানীয় রাজনীতির মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। যেমন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোহর ও কুমিল্লার অপরাধের মাত্রা একরকম। আবার সিলেট জেলার অপরাধের মাত্রার সাথে রংপুর জেলা বা পঞ্চগড় জেলার অপরাধের মাত্রার মিল নেই। উপকূলীয় জেলাসমূহের সাথে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর অপরাধ ও স্থানীয় রাজনীতির বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। লটারিতে কাউকে পাদায়ন করা হলে দেখা যাচ্ছে তিনি ওই জেলায় কাজের উপযুক্ত নন।
জেলাগুলোর অপরাধের মাত্রা পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল আইজিপি (ক্রাইম) ও ডিআইজি (ক্রাইম) শাখা মনিটরিং করে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পুলিশ শাখায় বদলি ও পদোন্নতির জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা আছে। এই কমিটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে।
পুলিশের সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এসপি পদায়নের ক্ষেত্রে মান এবং অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লটারি পদ্ধতি সেই স্তরের বিচার নিশ্চিত করতে পারে না। সরকার যেভাবে এসপিদের পদায়ন দিয়েছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। সরকার একটি কমিটি গঠন করতে পারতো, একটি তালিকা তৈরি করতে পারতো এবং বিভিন্ন জেলায় দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে পারতো। কিছু দিন তাদের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করার পর সরকার প্রয়োজনে একজন এসপিকে প্রতিস্থাপন করতে পারতো। কিন্তু যেভাবে হলো, তা বাঞ্ছনীয় নয়।
আলোচনায় ‘রাতের ডিসি’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ৫২টি জেলায় জেলা প্রশাসক পদে পরিবর্তন এনেছে। আবার বদলি না হলে এই ডিসিদেরই আসন্ন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জানিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিনটি নির্বাচনে যারা ন্যূনতম সংশ্লিষ্ট ছিলেন, এমন কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৯ নভেম্বর রাতে ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে সামাজিক মাধ্যমে ‘রাতের ডিসি’-র বিষয়টি আলোচনা সামনে উঠে আসে। কারণ, এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গভীর রাতে জারি করা হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার আরও ১৫টি জেলায় ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এর পরের বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও ২৩টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগের কথা জানায় সরকার। এর মধ্যে কয়েকটি জেলায় ডিসিদের পরিবর্তন করা হয়, আর বাকিগুলোতে নতুন কর্মকর্তারাই ডিসি হিসেবে নিয়োগ পান।
এসব প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অর্থনীতি ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত হওয়া বেশ কিছু কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, যাদের মাঠ প্রশাসনে ও নির্বাচনি কাজের যুক্ত থাকার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
লটারিতে বদলির এই সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করেন সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, আমি নিজে তিনটা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার জীবনেও প্রথম পোস্টিং হয়েছে লটারিতে। আমি মনে করি, ডিসি পদের জন্য যারা যোগ্য, তাদের মধ্যে কেউ দুর্বল না। ফলে লটারির মাধ্যমে এই নিয়োগ দেওয়া ভালো হয়েছে। বিশ্বে বহু দেশে এই ব্যবস্থা আছে। কেউ যদি নিজের দায়িত্বে অবহেলা করেন, তাহলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সবগুলো নির্বাচনের আগে দলীয় নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার সেই অভিযোগ উঠবে না। তবে যাদের লটারিতে অনা হয়েছে, সেখানে কোনো বিতর্ক থাকলে ভিন্ন কথা।
তবে ভিন্ন কথা বলেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, লটারিতে পোস্টিং কোনো ব্যবস্থা হতে পারে না। এতে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। সরকার হয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ উপক্ষো করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু এটা ঠিক হয়নি। প্রশাসনে একেক জায়গায় একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সবাই সব ধরনের চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করতে পারে না। ফলে সরকার যদি সঠিক লোকটিকে সঠিক জায়গায় দিতে চাইতো, তাহলে এভাবে লটারিতে বদলি করতো না। শেষ মুহুর্তে এসে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেটা করেছে, সেটা সংকট বাড়াবে।
একযোগে নিম্ন আদালতের ৮২৬ বিচারককে পদোন্নতি, বদলি
নিম্ন আদালতের তিনটি পদে দায়িত্বরত ৮২৬ জন বিচারক সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে একযোগে পৃথক আদেশে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। পদোন্নতি দিয়ে এসব বিচারককে নতুন কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ২৫০ জন। এছাড়া যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ করা হয়েছে ২৯৪ জনকে এবং সিনিয়র সহকারি জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ২৮২ জন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে জুডিসিয়াল সার্ভিসের এসব বিচারককে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি ও বদলির পৃথক আদেশে সংশ্লিষ্ট বিচারকদেরকে আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে দপ্তর প্রধান মনোনীত ব্যক্তির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে যে পদোন্নতি দেওয়া হলো, তা কি সবই মেধার ভিত্তিতে? এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, সেটাই তো বড় প্রশ্ন। এখন আপনি যদি বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর কাউকে নিয়ে লটারির জন্য সিলেক্ট করেন, তাহলে তো হলো না। প্রথম কথা হচ্ছে, সবকিছুই করা হচ্ছে স্বচ্ছতার জন্য। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, আমাদের কাছে তো তথ্য আছে, কোন জেলার কেন্দ্রগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এখন আমাদের কাছে দক্ষ অফিসার থাকার পরও সেখানে যদি একজন অদক্ষ কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি কিভাবে ওই পরিস্থিতি সামলাবেন? তাহলে আমরা দক্ষ অফিসারকে ক্রাইসিসি মোকাবেলায় পেলাম না। আবার অনেকের অনেক জায়গা সম্পর্কে ধারণা থাকে, সেটাও কাজে লাগলো না। এটা বিরাট সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বলবো, লটারিতে পোস্টিং সায়েন্টিফিক না। নানা কারণে অনেক অনাকাঙ্খিত বিষয় এড়ানোর জন্য হয়ত এটা করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় নানা ধরনের চাহিদা থাকে। কাকে, কোথায় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, এটা ঠিক করার আগে ওই জায়গার জন্য সেই ব্যক্তির ওই কাজের জন্য তার দক্ষতা কতখানি সেগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। এত গুরুত্বপূর্ণ কাজে লটারির ব্যবহার সঙ্গত হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 996 বার