যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

২০ আগ ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ণ


যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক এবং যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, আমাদের সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির নিমিত্ত ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য খাতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা আজ একত্রিত হয়েছি। বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলার কারণ হলো—জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনের জন্য দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ অপরিহার্য। যদি দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা না যায়, তবে ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় উন্নয়ন, কোনো কিছুই যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অসংক্রামক রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং সীমিত এলাকায় বিপুল জনগোষ্ঠীর বসবাসের কারণে পরিস্থিতি এখানে আরও জটিল। তাই এ বিষয়টি জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা শুধু স্বাস্থ্য খাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতি, সামাজিক সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের পেছনে অসংক্রামক রোগ দায়ী। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ মৃত্যু ঘটে ৭০ বছরের নিচে বয়সীদের মধ্যে, যা অকালমৃত্যু হিসেবে বিবেচিত। তিনি আরও জানান, দেশে ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয়ের হার ৬৯ শতাংশ, যার বড় একটি অংশ অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ব্যয় হয়।

তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ বাধ্য হয় উচ্চ চিকিৎসা ব্যয়ের মুখোমুখি হতে। বিশেষ করে কারও ক্যান্সার হলে পরিবারকে আর্থিক সামর্থ্যের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে হয় এবং প্রায়ই তারা সহায়হীন হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশে অতি ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, ফলে বিপুল অঙ্কের অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন উন্নত করা প্রয়োজন, তেমনি এসব রোগের প্রকোপ কমাতে বা প্রতিরোধ করতে উপযুক্ত জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একার পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয়। এজন্য সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত সহযোগিতা দরকার। খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার, গণপূর্তসহ প্রতিটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি খাত থেকেই প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও নিবিড় উদ্যোগ। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার