মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন সিলেটের আরেক কৃতিসন্তান
০৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ণ


স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সিলেটে দুই কৃতিসন্তানও রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর), স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন— মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর), পপ সম্রাট আজম খান (মরণোত্তর), লেখক ও ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর (মরণোত্তর), স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর), বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)। আরও দুজনকে এ পদক দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম এখনো জানা যায়নি।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেটের আরেক কৃতিসন্তান স্যার ফজলে হাসান আবেদ-কে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫২ সালে পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ১৯৬২ সালে লন্ডনের চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টসে চার বছরের পেশাদার কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে কানাডার কুইনস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টর অব ল’ এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডক্টর অব এডুকেশন’ ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান কানাডা। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান আমেরিকা। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি শেল অয়েল কোম্পানিতে যোগদান করেন এবং পদোন্নতি লাভ করে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। এখানে চাকরিকালীন ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। এ সময়ে তিনি ‘হেলপ’ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে মনপুরা দ্বীপে গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে অ্যাকশন বাংলাদেশ এবং হেলপ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 986 বার