ভারতীয় ছেলেটি এখন জেলে, ফেরত পাঠানো হলো পাকিস্তানি মেয়েটিকে

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

২৬ ফেব্রু ২০২৩, ১২:০৩ অপরাহ্ণ


ভারতীয় ছেলেটি এখন জেলে, ফেরত পাঠানো হলো পাকিস্তানি মেয়েটিকে

স্টাফ রিপোর্টার:
ছেলেটির বাড়ি ভারতে, মেয়েটির পাকিস্তানে। তাঁদের পরিচয় অনলাইনে লুডু খেলতে গিয়ে। এরপর সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। বিয়েও করেন তাঁরা।

ভারতীয় ছেলেটির নাম মুলায়ম সিং যাদব। বয়স ২১ বছর। একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন তিনি। আর পাকিস্তানি মেয়েটির নাম ইকরা জেওয়ানি। ইকরার বয়স ১৯ বছর। পাকিস্তানের হায়দরাবাদে পড়াশোনা করতেন তিনি।

তিন বছর আগে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে লকডাউন চলছিল, তখন অনলাইনে লুডু খেলতে গিয়ে পরিচয় হয় মুলায়ম-ইকরার। প্রেমে পড়েন দুজনে। বিয়ে করতে চান। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত।

অবশেষে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালে দেখা করেন মুলায়ম-ইকরা। সেখানেই বিয়ে করেন তাঁরা। এরপর ইকরা স্বামীর সঙ্গে ভারতের কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন। পরিচয় লুকাতে স্ত্রীর জন্য ভুয়া আধার কার্ড বানিয়েছিলেন মুলায়ম। সেখানেই দুজন বসবাস করছিলেন। বেশ সুখে কাটছিল সময়। কিন্তু বেশি দিন সেই সুখ স্থায়ী হয়নি।

গত জানুয়ারিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ অভিযান চালায় মুলায়ম-ইকরার বাড়িতে। আটক করা হয় দুজনকেই। অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ইকরা ভারতে এসেছেন এবং বসবাস করছেন। আর মুলায়ম অবৈধ পন্থায় ভারতে আসা একজন বিদেশিকে আশ্রয় দিয়েছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

গত সপ্তাহে ইকরাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মুলায়ম আছেন বেঙ্গালুরুর কারাগারে। মুলায়মের পরিবারের সদস্যরা থাকেন উত্তর প্রদেশে। তাঁদের ভাষ্য, মুলায়ম আর ইকরার সম্পর্কটা ছিল নিছকই প্রেমের। কিন্তু ভারত আর পাকিস্তানের বৈরিতা তাঁদের সুখে থাকতে দিল না।

মুলায়মের ভাই জিতলাল বলেন, ‘আমরা ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কটা বুঝতে পারছি। কিন্তু তারা (মুলায়ম ও ইকরা) প্রেমের কারণেই এমনটা করেছে।’

এ ঘটনার বিষয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটা নিছক প্রেমের ঘটনা। প্রেমের টানে একসঙ্গে থাকার জন্য তাঁরা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরির জন্য মুলায়মকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। এ ঘটনায় আরও তদন্ত করা হচ্ছে।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার