বন্ধুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কাটল গলা ও পুরুষাঙ্গ
০৯ ফেব্রু ২০২৩, ০১:১৪ অপরাহ্ণ
গাজীপুর প্রতিনিধি:
শাকসবজি বিক্রেতা নাহিদ হোসেনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল অটোরিকশাচালক আজাদ শেখের। এরপর সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাঁকে ফুটপাত থেকে ৩০ টাকায় কেনা চাকু দিয়ে জবাইয়ের পর মৃত্যু নিশ্চিত হতে তাঁর দেহ থেকে বিশেষ অঙ্গ কাটেন নাহিদ। এর আগে নির্জন স্থানে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁকে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গোসাত্র এলাকা থেকে আজাদের মরদেহ উদ্ধারের তিন দিন পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১।
গতকাল বুধবার সকালে কালিয়াকৈরের হরিণহাটি এলাকা থেকে নাহিদকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। এর পরই আজাদ হত্যার রহস্য জানায় পুলিশ। নাহিদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার আতাউর রহমান মণ্ডলের ছেলে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এ তথ্য জানান।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার মো. পারভেজ রানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দু’বছর আগে নাহিদ হরিণহাটি এলাকায় ভ্যানে শাকসবজির ব্যবসা শুরু করেন। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার আজাদ হরিণাহাটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা চালাতেন। কাঁচা তরকারি আনা-নেওয়ার সূত্রে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় নাহিদও অটোরিকশা কেনেন।
রিকশার ব্যাটারি কেনার জন্য আলোর প্রত্যাশা সমবায় সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন নাহিদ। পরে আজাদের অটোরিকশায় করে ব্যাটারি কিনতে যাওয়ার পথে সফিপুর এলাকায় অজ্ঞাত দু’জন টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে আজাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে নাহিদ সন্দেহ করেন। এর প্রতিশোধ নিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় আজাদকে সফিপুর বাজারে যেতে বলেন নাহিদ। এরপর চান্দাবহ কবরস্থান মোড়ে পৌঁছলে অটো থামাতে বলেন। সেখানে অন্ধকারাচ্ছন্ন মাঠে নিয়ে আজাদকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। নাহিদ র্যাবকে জানান, মৃত্যু নিশ্চিত করতে সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে জবাইয়ের পর পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ বিচ্ছন্ন করেন। পরে অটো নিয়ে পালিয়ে যান।
এর আগে গত রোববার আজাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার লাশের মাথার নিচ থেকে রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আজাদের বড় ভাই রাজু মিয়া কালিয়াকৈর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার