বড়লেখায় হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, আ.লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
০৯ সেপ্টে ২০২৪, ০৮:১৭ অপরাহ্ণ
বড়লেখা সংবাদদাতা:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হত্যার উদ্দেশ্যে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম, গাড়ি ভাংচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রায় ১১ বছর পর থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক। মামলায় ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা মুমিনুল হক টনি, সালেহ আহমদ জুয়েল, কবির আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আলী হোসেন, হারুনুর রশিদ বাদশা, তাজ উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আবজাল হোসেন আওয়াল, সাহেদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরহাদ আহমদ, শামীম আহমদ কালা, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন আলী, এনাম উদ্দিন, শামীম উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, কামরুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা সুমন আহমদ, কামাল আহমদ, অজিত দাস।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৩০ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক বিয়ানীবাজার পিএলসি শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, অফিসার হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত ও মাহবুব আহমদ খানকে সাথে নিয়ে বড়লেখা থানা এলাকায় ব্যাংকের নিয়মিত কাজে আসেন। তারা ব্যাংকের দুইটি মোটরসাইকেল যোগে বড়লেখা বাজারসহ বিভিন্ন গ্রাম হতে খেলাপি বিনিয়োগ ১,৬৫,০০০/- টাকা আদায়ের পর ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দুপুর অনুমান সাড়ে ১২ ঘটিকায় ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখা সংলগ্ন হ্যাপি কমপ্লেক্সের সম্মুখে পৌঁছলে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ‘ঐ যে জামায়াতের লোক।…দেরকে (খারাপ ভাষায় গালি দিয়ে) মার মার’ বলে দা, লোহার রড, হকিস্টিক, ছুরি, কিরিচ, চাপাতি ইত্যাদি নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত, অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুর রহমান প্রমুখ গুরুতর আহত হন। এসময় বিবাদীরা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিকের প্যান্টের পকেটে থাকা আদায়কৃত খেলাপি বিনিয়োগের ১,৬৫,০০০/ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে পেট্টল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। আসামিরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার সন্ধ্যায় বড়লেখা থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 990 বার