বগুড়ার এসপি সুদীপ পাচ্ছেন পিপিএম পদক, স্ত্রী বিপিএম

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

০২ জানু ২০২৩, ০২:৫৮ অপরাহ্ণ


বগুড়ার এসপি সুদীপ পাচ্ছেন পিপিএম পদক, স্ত্রী বিপিএম

বগুড়া প্রতিনিধি :
‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছয় দিনব্যাপী (৩-৮ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধন করবেন।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২০২২ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২৫ জনকে ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫০ জনকে ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেবেন।

এবারের পদক পাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পিপিএম-সেবা ও তার স্ত্রী পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) সুনন্দা রায় বিপিএম-সেবা পদক পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ দম্পতির মধ্যে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পদক পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে পুলিশে কর্মরত একাধিক দম্পতি পদক পেলেও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পেয়েছেন। আবার স্বামী-স্ত্রী একই পদ মর্যাদারও ছিলেন না।

বগুড়ার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটি অর্জন। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কাজে খুশি হয়ে আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। আমাদের মানুষের সেবার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমরা দুজনই মানুষের সেবায় আরও বেশি নিবেদিত হতে চাই।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা দুজন যেহেতু একই পেশায়, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংসার ও সন্তানদের লালন-পালন করার পাশাপাশি পুলিশের দায়িত্ব পালন করা। আমরা দুজনই সেটি ভাগ করে সংসার ও পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছি। কর্তব্য পালনে আমরা কখনো অবহেলা করিনি।

পুলিশ সুপার দম্পতি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও সুনন্দা রায় দুজনই বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তারা দুজনই দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার