ফরিদপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে স্বামীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

০১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৮ অপরাহ্ণ


ফরিদপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে স্বামীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে স্বামীসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড নিয়েছেন আদালত। ফরিদপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এ রায় দেন।

সাজা পাওয়া দুই ব্যক্তি হলেন—সদরপুরের ঢেউখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪৯) ও চুন্নু মাতুব্বর (৫০)। এর মধ্যে নিহত গৃহবধূ রাশিদা বেগম আসামি জাহাঙ্গীর মোল্লার স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, রাশিদা বেগম সদরপুরের চরব্রাহ্মন্দী গ্রামের মুন্সী হারুন অর রশিদের মেয়ে। ২০০০ সালে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে রাশিদার বিয়ে হয়। কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য রাশিদাকে চাপ দিতে শুরু করেন জাহাঙ্গীর। এ নিয়ে রাশিদার সঙ্গে জাহাঙ্গীরের পারিবারিক কলহ শুরু হয়।

যৌতুক দাবি করে না পেয়ে একপর্যায়ে রাশিদাকে নির্যাতন করা শুরু করেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু এরপরও যৌতুক না পাওয়ায় ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে মামলার আসামিরা রাশিদাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ দশ হাজার গ্রামের মাখন ঠাকুরের মেহগনিবাগানে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় রাশিদার ভাই মো. দেলোয়ার বাদী হয়ে সদরপুর থানায় রাশিদার স্বামী জাহাঙ্গীর, চুন্নুসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওহিদুজ্জামান সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই অভিযোগপত্রে রাশিদাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন পাল বলেন, ধর্ষণসহ এ হত্যার ঘটনায় জাহাঙ্গীর ও চুন্নুকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং তাঁদের দুজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 984 বার