প্রয়াত ফুলতলী পীরের ঈসালে সাওয়াব বুধবার
১৩ জানু ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রখ্যাত পীর, সুফি ও ইসলামী চিন্তাবিদ আবদুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (র.)-এর ১৭তম ওফাত বার্ষিকী ১৫ জানুয়ারি বুধবার। এ উপলক্ষ্যে প্রয়াত ফুলতলী পীরে জন্মস্থান সিলেটের জকিগঞ্জের ফুলতলী ছাহেববাড়ি সংলগ্ন বালাই হাওরে অনুষ্ঠিত হবে বিশাল ঈসালে সওয়াব মাহফিল।
সকাল সাড়ে ১০টায় আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর মাযার যিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে মাহফিলের কার্যক্রম। এরপর খতমে কুরআন ও দুআর মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। এতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে বুখারী, খতমে খাজেগান, দালাইলুল খায়রাত শরীফের খতম, যিকর মাহফিল, বিষয়ভিত্তিক বয়ান ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা। মাহফিলে তা’লীম-তরবিয়ত প্রদান করবেন ফুলতলী পীরের বড় ছেলে আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। মাহফিল উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মাহফিলে প্রখ্যাত পীর-মাশায়িখ, আলিম-উলামা, ইসলামী শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হবেন।
ঈসালে সাওয়াব মাহফিল উপলক্ষ্যে লাখো মুসলিম জনতাকে বরণ করতে প্রস্তুত হয়েছে বালাই হাওর। জকিগঞ্জ-আটগ্রাম রোডে রতনগঞ্জ বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে গাড়ি পার্কিং-এর জন্য বৃহৎ পরিসরে দশটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। রতনগঞ্জ বাজার থেকে ছাহেববাড়ি অভিমুখী রাস্তার মুখে মোটর সাইকেল রাখারও সুব্যবস্থা করা হয়েছে। সার্বিক শৃঙ্খলার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ ও দায়িত্ব বণ্টনও সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। মাহফিলকে সফল ও স্বার্থক করে তুলতে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে সর্বস্তরের মুসলিম জনতার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
আল্লামা ফুলতলী উপমহাদেশে সুপরিচিত এক মহান ব্যক্তিত্ব। ১৯১৩ সালে জকিগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী ফুলতলীতে তাঁর জন্ম। প্রায় শতবর্ষব্যাপী জীবন অতিবাহিত করে ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি ইন্তেকাল করেন। এ দীর্ঘ জীবনে তিনি দীনের বহুমুখী খিদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। ইলমে কিরাতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনন্য ও বিশ্ববিখ্যাত। ইলমে হাদীসের খিদমতে তাঁর রয়েছে পৌনে এক শতাব্দীর প্রোজ্জ্বল ইতিহাস। সমাজের অসহায়-দুঃস্থ মানুষের সেবায় তাঁর রয়েছে বহুবিধ খিদমত।
তিনি সারা জীবন মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করেছেন বিভিন্নভাবে। তিনি একজন সুলেখক ও সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। ইলমে কিরাত ও ইলমে হাদীসের খিদমতের পাশাপাশি তাযকিয়ায়ে নফস বা ইলমে তাসাওউফের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। অগণিত মানুষ তাঁর হাতে বায়আত হয়ে আল্লাহপ্রাপ্তির পথে এগিয়ে গেছেন। তিনি ওয়ায, যিকিরের তা’লীম, খানকা মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার সারাজীবন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।। ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তিনি দেশ-বিদেশে অনেক মসজিদ-মাদরাসাও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 986 বার