নেপালের দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিলো রাগীব-রাবেয়া মেডিকেলের সেই ১৩ শিক্ষার্থীকে
১৫ জানু ২০২৩, ০৬:৫৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
২০১৮ সালের ১২ মার্চ। নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ৫০জনের বেশি প্রাণহানি ঘটে।
ঘটনাটি সিলেট থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে হলেও এ খবরে মুহুর্তের শোকাতুর হয়ে পড়ে সিলেট। কারণ- সেই দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ১৩ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নরত ছিলেন।
সেই নেপালে ফের ঘটেছে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা। রোববার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে সে দেশে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার সময় প্লেনটিতে মোট ৭২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু।
দেশটির অভ্যন্তরীণ রুটে বিধ্বস্ত প্লেনে স্থানীয়দের পাশাপাশি ১৫ বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ভারতের, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, দুজন দক্ষিণ কোরিয়ার, একজন অস্ট্রেলিয়ার, একজন ফ্রান্সের ও একজন আর্জেন্টিনার নাগরিক।
জানা গেছে, নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি এটিআর-৭২ প্লেন বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের সিভিল এভিয়েশনের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরাউলা জানান, ৭২ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল বিমানটি। পাহাড়ি এলাকা হলেও দুর্ঘটনার সময় আকাশ পরিষ্কার ছিল। তাহলে কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটলো সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
এক বিবৃতিতে দেশটির সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সংযোগ ছিল প্লেনটির। এরপর এটি বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ বলছে, প্লেনটি ১৫ বছরের পুরোনো ছিল।
এর আগে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ৫০জনের বেশি প্রাণহানি হয় বলে সে সময়ের দেশটির গণমাধ্যম জানায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় আগুন ধরে যায়। বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। ওই ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। বেশির ভাগই ছিলেন বাংলাদেশি।
ওই দুর্ঘটনায় সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ করেন। তারা সবাই ১৩ নেপালি ছিলেন।
নিহত শিক্ষার্থীরা ছিলেন- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।
সেই ভয়াবহ স্মৃতি এই ১৩ শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা আজও ভুলতে পারেননি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার