নিহত ছাড়িয়েছে ১১ হাজার, শোকে মূহ্যমান তুরস্ক-সিরিয়া
০৮ ফেব্রু ২০২৩, ০৭:১৮ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দু’দিন আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন শহরের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবারের আকস্মিক এই দুর্যোগের দু’দিন পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও প্রবল শোকের ধাক্কা থেকে বেরোতে পারছেন না দুই দেশের বাসিন্দারা।
তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দু’দিনে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন শহরের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা মৃতদেহের সংখ্যা ১১ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কে ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৫৭৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন কর্মীরা। আর সিরিয়ায় উদ্ধার করা মরদেহের সংখ্যা ২ হাজার ৬৬২ জন ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে আরেও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চীলয় কাহমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, উদ্ধার তৎপরতায় আরও গতি না আনলে ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও যারা জীবিত অবস্থায় আটকা পড়ে আছেন, তাদের জীবনের ঝুঁকি আরও বাড়বে।
তুরস্কের খারমানমারাস প্রদেশের খারমানমারাস শহরের বাসিন্দা মেসুত হানসেরের এই সতর্কবার্তায় আর উদ্বিগ্ন হওয়ার অবস্থায় নেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মেসুত হানসেরের একটি ছবি প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে বসে আছেন তিনি, আর এক হাতে ধরে আছেন ধ্বংসস্তুপের মাঝে চাপা পড়ে মৃত্যুমুখে ঢলে পড়া তার ১৫ বছরের মেয়ে ইরমাকের হাত।
অনেকেই তাকে নিরপদ উষ্ণ জায়গায় সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কিন্তু সেসব পরামর্শ কানে না তুলে তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের দেহ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত এ জায়গা থেকে নড়বেন না তিনি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার