দুলাভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন শ্যালক
২৪ জানু ২০২৩, ০৬:২৮ অপরাহ্ণ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির রামগড়ে দুলাভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রামগড়ের শ্মশানটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দীপক ঘোষ মুন্না (৩৮) রামগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শ্মশানটিলা এলাকার রাখাল ঘোষের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দুই পুত্র সন্তানের জনক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্যালক সাগর ত্রিপুরা (২৫) ও তার এক সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় সাগর ত্রিপুরা ও তার কয়েকজন বন্ধু দুলাভাই দীপক ঘোষ মুন্নাকে মারার জন্য তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। দীপক ঘোষ মুন্না বাড়ির সামনে আসলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। এতে মুন্না গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লীচিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালের দিকে দীপক ঘোষ মুন্নার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মুন্নার বাবা রাখাল ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলে এবং পুত্রবধূর সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। দুজন আলাদা থাকছেন। তার পুত্রবধূ কনিকা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাধে চট্টগ্রাম থাকেন। কয়েকবার চেষ্টা করেও কনিকাকে বাড়িতে আনা যায়নি। এ নিয়ে সালিস বৈঠকে দুজনের ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় শ্যালক সাগর ত্রিপুরার সঙ্গে মুন্নার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে সাগর ত্রিপুরা মুন্নাকে হত্যা করেন।
রামগড় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার