দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত শুরু
২২ ফেব্রু ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ণ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে নতুন একটি অভিযোগ উঠেছে। গত মাসে গ্রেফতার এড়াতে চেষ্টা করার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউনের বিরুদ্ধে সামরিক আইন জারির জন্য তদন্তকারীদের গ্রেফতার চেষ্টা বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
ইউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ডিসেম্বর মাসে তার স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারির কারণে গ্রেফতার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসকে তদন্তকারীদের গ্রেফতার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেশটির ইয়নহ্যাপ নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইউন এবং প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের ডেপুটি প্রধান কিম সিওং-হুনের মধ্যে আদান-প্রদান করা টেক্সট মেসেজ উদ্ধার করেছে, যেগুলো তদন্তকারীরা প্রেসিডেন্ট বাসভবনে অভিযান চালালেও ইউনকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সংবিধান আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মুন হ্যুং-বে বলেছেন, ইউনের অভিশংসন ট্রায়ালের চূড়ান্ত শুনানি আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। আদালত মার্চ মাসের মাঝামাঝি তার রায় দিতে পারে।
ডিসেম্বর ১৪ তারিখে পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত করার পর থেকে তিনি দপ্তর থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন, এবং বর্তমানে তার মামলা সংবিধান আদালতের সামনে রয়েছে, যেটি ছয় মাসের মধ্যে তার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণ বা পুনর্বহালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
গত ৩ ডিসেম্বর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।
স্বল্পস্থায়ী এই সামরিক আইন জারির জেরে ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে একবার ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টার অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তবে তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 983 বার