জগন্নাথপুরে প্রাইমারি স্কুলগুলোর স্লিপ ফান্ডের টাকা লুটপাট

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

০৩ জানু ২০২৩, ০২:৩৫ অপরাহ্ণ


জগন্নাথপুরে প্রাইমারি স্কুলগুলোর স্লিপ ফান্ডের টাকা লুটপাট

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে স্লিপ ফান্ডের টাকা লুটপাট চলছে। প্রতি বছর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর ক্ষুদ্র মেরামত ও সংস্কার কাজের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্ধ দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

অনেক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিলে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনী কাজ না করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠ মনিটরিং ও জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতি বছরই সরকারের বরাদ্দকৃত মোটা অংকের টাকা লুটপাট চলছে।

এছাড়া স্কুল গুলোতে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থ ব্যবহারে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আতাঁতে অনেক বিদ্যালয়ে এ খাতের অর্থের নয় ছয় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলার ১৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র সংস্কার কাজের জন্য সরকার থেকে স্লিপের ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হলেও অনেক বিদ্যালয়ে এসব টাকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ভাগ বাটোয়ারা করায় কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।

অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার আউদত পূর্ব বুধরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পূর্ব কাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার কয়েকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত স্লিপের অর্থের কোন কাজ হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ব বুধরাইল আউদত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দুন্নেছা সোমবার জানান, স্লিপের বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকার মধ্যে শিক্ষা অফিস ভ্যাট ৫ হাজার টাকা রেখে দেয়। ৪৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা আছে। তিনি বলেন, স্কুলের নতুন কমিটি গঠনের পর এই টাকা দিয়ে কাজ করবো।

পূর্ব কাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা আক্তার বলেন, আমরা স্লিপের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে স্কুলের চেয়ার,টেবিল ও ব্রেঞ্চের কাজ করেছি।

সাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দীন জানান, সরকারের বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে। কোন লুটপাট হয়নি।

বেরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুক্লা বৈদ্য বলেন, বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা থেকে স্কুলের সামনে মাটি ভরাটের কাজ ও কিছু ব্রেঞ্চের কাজ করেছি। ১৭ হাজার টাকা আমাদের কাছে আছে। কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিক্তিতে বাকী টাকার কাজ করবো।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাসকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার