গুম-নির্যাতনের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তার ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন নাকচ

Daily Ajker Sylhet

দৈনিক আজকের সিলেট

২৪ নভে ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ণ


গুম-নির্যাতনের দুই মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তার ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন নাকচ

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে গুম-নির্যাতনের অভিযোগ নতুন মোড় নিচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সেনাবাহিনীর ১৩ কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ঠিক হয়েছে আগামী ৩ ও ৭ ডিসেম্বর। গতকাল রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সিদ্ধান্ত দেন।

এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের সাময়িক কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে গ্রেপ্তার ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন নাকচ করে ট্রাইব্যুনাল জানায়, ‘আইন সবার জন্য সমান, তাই সশরীরেই উপস্থিত থাকতে হবে।’ পলাতকদের আত্মসমর্পণের জন্য বিজ্ঞপ্তির প্রক্রিয়াও চলছে।

পলাতক শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেড আই খান পান্না। একইভাবে কামালসহ অন্য পলাতক আসামিদের প্রতিরক্ষায়ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আদালত সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশও দিয়েছেন।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেন্টারে (টিএফআই) এবং ডিজিএফআইয়ের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে করা এই মামলাগুলোর শুনানি যথাক্রমে ৩ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই ১৭ নভেম্বর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করেছি, শেখ হাসিনার জন্য আরও সঠিকভাবে ডিফেন্স উপস্থাপনের সুযোগ থাকা উচিত। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তিনি পলাতক হওয়ায় আমি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবেই থাকব—এ ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই।’

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.1K বার