গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য হুথিদের আল্টিমেটাম, স্বাগত জানাল হামাস
০৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর দেওয়া আল্টিমেটামকে স্বাগত জানিয়েছে, যেখানে ইসরাইলকে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য চার দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে হামাস ইসরাইলি বাহিনীর ‘অনাহারে হত্যার অপরাধ’ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে না দিলে তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে পুনরায় নৌ-অভিযান শুরু করবে। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
লোহিত সাগরে ইসরাইলবিরোধী অভিযান
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তু এবং ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে, যা তারা গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে।
মানবিক সহায়তা বন্ধ, গাজায় মৃত্যুর মিছিল
ইসরাইল গত রোববার (৩ মার্চ) থেকে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। গত প্রায় সাত দিন ধরে কোনো ধরনের ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়নি তারা। গাজায় দ্রুত চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি না দিলে শিশুরা মারা যাবে বলে সতর্ক করেছেন ইউনিসেফের শিশু সংস্থার যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রোজালিয়া বোলেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত গাজায় ৪৮,৪০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা ১,১১,৮০০ ছাড়িয়েছে। ইসরাইলি হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
ইসরাইল বর্তমানে গাজার বিরুদ্ধে পরিচালিত আগ্রাসনের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার সম্মুখীন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 985 বার