আসুন, যে যার জায়গা থেকে যেভাবে পারি ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়াই
২১ অক্টো ২০২৩, ০২:৫৯ অপরাহ্ণ
এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন :
বিদায় হজ্জের ভাষনে, মুসলিম জাহানের সর্দার: দুজাহানের বাদশা, আখেরী নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নেই। বিশ্বের স্বীকৃত ধর্মসমূহ হচ্ছে, ইসলাম ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম, ইহুধী ধর্ম, বৌদ্দ ধর্ম ও হিন্দু ধর্ম। ক্বোরআন শরীফে বর্ণনা করা হইয়াছে, ইন্ধিল, তাওরাত, জবুর এবং আসমানী কিতাব আল-ক্বোরআন।
সকল ধর্মের ধর্ম প্রচারকগন নাফসি নাফসি বলেছেন। কিন্তু হযরত মোহাম্মদ (স:) বলেছেন, ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মতি। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম গহণ করে মাত্র ৬৩ বৎসর বয়সে দুনিয়ার জমিন ত্যাগ করেন। ৬৩ বৎসর বয়সে হযরত মোহাম্মদ (স:) এর উপর আসমানি কিতাব মহাগ্রন্থ আল ক্বোরআন নাযিল হয়। ক্বোরআন শরীফে বর্ণনা করা হইয়াছে, মসজিদে আকসা, জোরুজালেম আল্লাহর ঘর হারাম শরীফ ও মসজিদে নববী।
যেখানে শায়িত আছেন, হযরত মোহাম্মদ (স:)। হযরত মোহাম্মদ (স:) যখন মেহেরাজে যান তখন পবিত্র মসজিদে আকসা থেকে সাত আসমান সাত জমিন ভ্রমণ করেছিলেন। জোরুজালেম (ফিলিস্তিনে) শায়িত আছেন মুসলিম জাতির রুহানী পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ:)। ইসলাম শান্তিও সহানুভুতির ধর্ম। মুসলমানরা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বর্তমান ইসরাইল নাগরিকদের কে বসবাসের সুযোগ করে দিলেন। আস্তে আস্তে ইহুদীরা বসতি স্থাপন করে তাদের সংখ্যা বৃদ্বি করতে লাগল।
এক পর্যায়ে ইহুদীরা দাবী করতে লাগলেন মসজিদে আকসা নাকি তাদের যিশু খৃষ্টের (হযরত ইসমাইল (আ:) শুরু করতে লাগলেন, ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনিদের উৎখাত) নিজ দেশে ফিলিস্তিনিরা হলেন পরবাসী। ইসরাইলীরা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর যখন আগ্রামী অভিযানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে আকাশ পথে নির্বিচারে হত্যা করিতেছে, তখন হযরত মোহাম্মদ (স:) এর সৈনিকগন জনৈক ইহুদীর ঘরে ঢুকা মাত্রই ইসরাইলী মহিলা ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায়, তখন মুসলিম সৈন্যরা মহিলাকে আশ্বস্থ করলেন নির্ভয়ে থাকার জন্য। কোনো ক্ষতি করব না। পানি পানের পর মুসলিম সৈন্যরা পালিয়ে গেলেন। মহিলাটি হাফ ছেড়ে বাচলেন। ইহুদী মহিলাটি বলতে লাগল, এটাই ইসলাম, এতই মহানুভবতা। শুকরিয়া আদায় করলেন। ইসলাম কখনো সংঘাত চায় না, চায় শান্তি।
বিশ্বের ১৮৬টি রাষ্ট্রের মধ্যে মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, তাহা বিধর্মীদের দখলে থাকা দেশ সমূহ মিলে এর সমপরিমাণ হয় না। যেমন: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, ইরান, ইরাক, ইয়েমেন, মিশর, জর্দান, সিরিয়া, ঘানা, পাপুয়া নিউব্বিনি, ইথিত্তপিয়া, নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া, তুরষ্ক, রাষ্ট্র সমূহে যে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, গ্যাস ও সোনা যাবতীয় খনিজ পাদার্থ রয়েছে তা বন্ধ করে দিলে বিশ্বের পরাশক্তি ধর রাষ্ট্র সমূহ অচল হয়ে যাবে। মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের অবস্থান কিন্তু ইসরাইলে চতুর্দিকে। যদি মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে সকল বিবেদ ভ‚লে এক হয়ে ইসরাইলসহ তাহার সহযোগী রাষ্ট্র সমূহের উপর অবরোধের ডাক দেয়, তাহলে পুরা বিশ্ব সম্প্রদায় মুসলিম (বিদ্বেষকারীরা) ধংশ হয়ে যাবে।
ইসরাইলীরা পথহারা হয়ে মিশরের নীলনদে ঝাপ দিয়ে মৃত্যুবরণ ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। তবে পরাশক্তির চাইবে মুসলমানরা যাতে এক না হতে পারে। সকল কৌশল অবলম্বন করবে। এর থেকে নিজেদের বুদ্ধি, বিবেককে কাজে লাগিয়ে তাদের প্ররোচনা থেকে নিজেদের রক্ষা করে ইসরাইলীদের দেশ ত্যাগ করানোর উপযোক্ত সময় কিন্তু এখন।
প্রতি বৎসর প্রায় ৪০ লক্ষ মুসলমান পবিত্র হজ্ব পালন করেন। এখানে শৃংখলার জন্য পুলিশ র্যাব বা বিশেষ বাহিনীর প্রয়োজন হয় না। এক ইমাম যখন রুকু সেজদা করেন, তাহার সাথে অবশিষ্ট ৪০ লক্ষ মুসলমান রুকু সেজদা বা ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করেন। অন্য ধর্মের অনুসারীদের এত সংখ্যক লোক নিয়ে কি কোন ধর্মীয় সমাবেশ হতে দেখেছেন? না, কখোনো দেখিনি। ১০ হাজার লোক নিয়ে যখন গঙ্গা¯œনে যান, তখন দেখা যায় এক হাজার মৃত্যু বরণ করেছেন দুর্ঘটনা জনিত কারনে। তাই আসুন, ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বলব, আমাদের আল্লাহ এক। বিবেদ ভ‚লে এক আল্লাহর অনুসারীদের রক্ষা করতে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাডিয়ে ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখরিত করে তুলি। ইসরাইলী দখল দাররা দেশ ত্যাগ কর। ফিলিস্তিনের ভ‚মি ফিলিস্তিনিদের নিকট ফিরিয়ে দাও। সকল সংঘাতের পথ পরিহার কর।
লেখকঃ সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 988 বার